শ্রমবাজারের তালিকায় আসছে নতুন ৭ দেশ





নতুন শ্রমবাজার বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশি কর্মী যেতে পারবে সম্ভাবনাময় এমন নতুন সাতটি দেশের সন্ধান পেয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। নতুন দেশগুলোতে কোন কোন খাতে কর্মী পাঠানো যেতে পারে এ ব্যাপারেও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এজন্য এসব দেশে কনসালটেন্ট নিয়োগ ও দক্ষ কর্মী তৈরির প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হচ্ছে।  
 
মন্ত্রণালয়টির ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহার বাংলামেইলকে এসব কথা বলেন। সোমবার মন্ত্রণালয়ে তার নিজস্ব দপ্তরে দক্ষকর্মী তৈরিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম ও নতুন বাজার সৃষ্টিতে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপসহ সাম্প্রতিক অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে ফান্ডের অপর্যাপ্ততা থাকার কারণে এসব কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হচ্ছে বলেও সেসময় জানান তিনি।
 
বেগম শামছুন নাহার বলেন, ‘শুধু গতানুগতিক দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানো নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে নারীকর্মীদের শ্রমবাজারসহ ১০টি স্টাডি করা হয়েছে। এসব স্টাডিতে নতুন ও পুরাতন ১৬টি দেশের বাজারের ওপর বিশ্লেষণ করা হয়। বলতে পারেন এই ১৬টি দেশে নতুন বাজার ও নতুন ক্ষেত্র তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।’
এর মধ্যে নতুন দেশগুলো হলো- সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রজিল, ইটালি, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন। এসব দেশে অনেক সম্ভানাময় খাত আছে। চিহ্নিত এসব খাতে এখন আমাদের ঢুকতে হবে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করে কর্মী পাঠাতে হবে-বলে যোগ করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, ‘এজন্য আমাদের প্রথমে কনসালটেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। যারা দেশগুলোতে আমাদের বাজার সৃষ্টিতে ঢুকাতে পারবে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে হবে। এজন্য দরকার বিনিয়োগ। যদি ঠিক মত বিনিয়োগ করতে না পারি তাহলে এসব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। পর্যাপ্ত পরিমান মূলধন পেলে আমরা আগামীকাল থেকেই কার্যক্রম শুরু করবো। তবুও আমাদের তহবিল আছে এ দিয়েই আমরা চিহ্নিত দেশগুলোতে ঘুরবো।’
 
তিনি এসব দেশে যেতে পারবে এমন দক্ষ শ্রমিক তৈরির ব্যাপারে জানান, কর্মীদের আন্তর্জাতিকমানের দক্ষতা অর্জনের জন্য সিটি অ্যান্ড গিল্টসের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত বছরের নভেম্বরে তারা আমাদের পাঁচটি ট্রেডের ৫০ জন প্রশিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সিটি অ্যান্ড গিল্টসের সার্টিফিকেটও তারা পেয়েছে। ওইসব শিক্ষক প্রশিক্ষণার্থীদের সিটি অ্যান্ড গিল্টসের কারিকুলাম অনুযায়ী আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা দিবে। পরে শিক্ষার্থীরা সিটি অ্যান্ড গিল্টসের সার্টিফিকেট পাবে। এ সর্টিফিকেট দিয়ে তারা ইউরোপ আমেরিকা মত এসব দেশে সহজেই যেতে পারবে।
 
পুরাতন দেশগুলোতে কেমন খাত সৃষ্টি হয়েছে?- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘পুরাতন দেশগুলোর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশগুলোই পড়ে। পুরাতন দেশগুলোতে ‘ডাইভারসিফাইট ফিল্ড’ বা গতানুগতিক যেসব খাত আছে, তার বিকল্প অন্য খাতে পাঠানোর ব্যাপারে তাদের ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেমন মহিলারা এতো দিন শুধু গৃহকর্মী বা নার্স হিসেবে যেতো, তাদের নতুন খাত হিসেবে শপিংমলে সেলস পার্সন, সিকিউরিটি গার্ড, হোটেলে কাজ, মহিলা ড্রাইভার ইত্যাদি নতুন খাত সৃষ্টি হয়েছে।’
নতুন বাজার সৃষ্টিতে এসব স্টাডি ও বিশ্লেষণ আইএলও, আইওএন, ইউএন ইউম্যানের সহযোড়িতায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
তিনি আরো বলেন, ‘কেবিনেট সভায় আমি বলেছি বৈদেশিক কর্মসংস্থানকে তৃতীয় সেক্টর হিসেবে ঘোষণা দেয়া উচিত। আর তাই আমাদের বড় বড় এমাউন্ট লাগবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে অনেক ইনভেস্টমেন্ট দরকার। আমরা যা করি গায়ে খেটে। তবে আমাদের যে উন্নয়ন তহবিল আছে, সেখান থেকে করা যায় কিনা দেখতেছি। এসব বাজারা সৃষ্টিতে কী পরিমান ফান্ড লাগবে তা হিসাব করা হচ্ছে। আমাদের এসব নিয়ে কর্মকর্তারা কাজ করছে।’
Share on Google Plus

About Jessica Hornberger

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment