বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা পেতে হয়রানি ও টাকা লেনদেনের অভিযোগ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্যত স্বীকার করে নিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ আজ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে জানান, অসুবিধা ও হয়রানি দূর করে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা স্বচ্ছ করতে ভারত উদ্যোগ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের পর্যটন ভিসা পাওয়া নিয়ে অযথা হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সে দেশে এ নিয়ে একটি অনলাইন প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। অভিযোগ, ভিসা পেতে গেলে ই-টোকেন পাওয়া যায় না। সরকারিভাবে ভিসা ফি না লাগলেও ই-টোকেন পেতে বিপুল টাকা খরচ করতে হয়। এ নিয়ে অনলাইন আবেদন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও পাঠানো হয়েছে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ কার্যত অভিযোগ স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অবহিত। বাংলাদেশ থেকে সব চেয়ে বেশি ভিসা ভারতই দিয়ে থাকে। কিন্তু যে পরিমাণ ভিসা ভারত দেয়, চাহিদা তার চারগুণ। এই চাহিদা মেটাতে হাই কমিশনের লোকবল বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে।’ বিকাশ স্বরূপ বলেন, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত এটা শুধরে একটা স্বচ্ছ ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে হয়রানি দূর হয়।
ভিসা সংক্রান্ত এই দুর্নীতির অভিযোগ বহুদিনের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, সহজে সবাইকে ভিসা দিতে গেলে ঢাকার হাই কমিশনে এক ধাক্কায় অতিরিক্ত অন্তত পঞ্চাশজনকে নিয়োগ দিতে হয়। এত লোকবল এক ধাক্কায় বাড়ানো সম্ভব নয়। অথচ, ব্যবস্থা না বদলালে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগগুলি দূর করাও যে কঠিন তা মন্ত্রণালয়ের সবাই স্বীকার করেন। মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। ধীরে ধীরে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ে একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দ্রুত যাওয়া প্রয়োজন, তাঁদের ভিসা পেতে দেরি হয় না। ব্যবসায়ীদের ভিসার মেয়াদও পাঁচ বছর করার কথা ভাবা হচ্ছে। পর্যটকদেরই হয়রানির মধ্যে বেশি পড়তে হয়। দুর্নীতির অভিযোগও এই ক্ষেত্রেই বেশি। এই অভিযোগ যাতে বাংলাদেশের পর্যটকদের না করতে হয়, সে জন্য শিগগিরই কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই ব্যবস্থাগুলি কার্যকর করার চেষ্টা হচ্ছে। prothom alo
0 comments:
Post a Comment