হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তাদের মিষ্টি খাওয়াতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বর্হিগমন যাত্রীরা।
তবে সরাসরি মিষ্টি নয় ৫’শ কিংবা এক হাজার টাকা দিলেই মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা পুরণ হয় সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তাদের। এভাবে সকল যাত্রীর কাছ থেকেই মিষ্টি খাওয়ার আবদার করে থাকেন তারা।
যাত্রীর মালামাল চেক করার সময় এভিয়েশন কর্তারা লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে যাত্রীদের কাছে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা চাইতে থাকেন। টাকা না দিতে পারলে দেশের বাহিরে যাবেন অথচ আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা মনে থাকেনা বলে মৃদু ভৎসনা করেন।
এছাড়া, কারও পকেটে বাংলাদেশী টাকা থাকলে বিদেশে বাংলাদেশী টাকা দিয়ে কি করবেন বলে টাকাগুলো কেড়ে নেন কর্মকর্তারা।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা বিমানযাত্রী সেলিম পাঠান ৭ দিনের জন্য মালয়েশিয়া বেড়াতে যাবেন। ইমিগ্রেশন পার করে সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তার সামনে গেলে তার মানিব্যাগ চেক করে চারশ টাকা পান। বিদেশে বাংলাদেশী টাকা নেয়া নিষিদ্ধ জানিয়ে টাকাগুলো রেখে দেন তারা। কিন্তু এ টাকা কোথায় যাবে জানতে চাইলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ প্রতিবেদক নিজেও এভিয়েশন কর্মকর্তাদের এমন আচরনের সম্মুখিন হন। মানিব্যাগে প্রায় ১৭’শ টাকা পাওয়া গেলে সে টাকা রেখে দিতে চান। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তখন কর্মকর্তারা বলেন, ‘ভাল কথা, বিদেশে যাচ্ছেন তো আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়াবেন না? এ প্রতিবেদক ২’শ টাকা বের করে দিতে চাইলে এক নারী কর্মকর্তা রাগত স্বরে বলেন, ‘লাগবে না আপনার টাকা, এ দিয়ে কি মিষ্টি খাওয়া যাবে? আপনি নিজেই খান।
মুন্সিগঞ্জ থেকে মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য ইমিগ্রেশন পার করে এভিয়েশন কর্মকর্তার সামনে আসেন আব্দুর রশিদ নামে একজন ব্যবসায়ী। প্রবাসে থাকা আত্মীয়-স্বজনের জন্য তিনি দুই প্যাকেটে ৪ কেজি মিষ্টি হাতে করে নিয়ে আসেন। এভিয়েশন কর্তারা তার কাছেও মিষ্টি খাওয়ার টাকা চেয়ে বলেন, মিষ্টি বিদেশে নিয়েই যাবেন, আমাদেরকে খাওয়াবেন না? তিনি প্যাকেট খুলে মিষ্টি খেতে দিতে চান। তখন কর্মকর্তারা বলেন, আপনি টাকা দিয়ে যান আমরা পরে খেয়ে নেব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বিমানযাত্রী বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তারা মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে এক প্রকার চাঁদাবাজি করছেন। অনেক সময় টাকা না দিলে ব্যাগ রেখে দেয়াসহ ফ্লাইট ক্যানসেল করে দেয়ার হুমকি দেন।
ইউনিভার্সিটি মালয়ার আইন গবেষক মিনহাজ উদ্দিন মিরান বলেন, প্রবাসে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপেই বিমান বন্দরে আমরা এমন হয়রানির শিকার হই তাহলে দেশের প্রতি টানের জায়গাটা হালকা হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও সরকার এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে নিজ দেশের জনগণের কাছেই ইমেজ সংকটে পড়ে সরকার।
যাত্রীর মালামাল চেক করার সময় এভিয়েশন কর্তারা লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে যাত্রীদের কাছে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা চাইতে থাকেন। টাকা না দিতে পারলে দেশের বাহিরে যাবেন অথচ আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা মনে থাকেনা বলে মৃদু ভৎসনা করেন।
এছাড়া, কারও পকেটে বাংলাদেশী টাকা থাকলে বিদেশে বাংলাদেশী টাকা দিয়ে কি করবেন বলে টাকাগুলো কেড়ে নেন কর্মকর্তারা।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা বিমানযাত্রী সেলিম পাঠান ৭ দিনের জন্য মালয়েশিয়া বেড়াতে যাবেন। ইমিগ্রেশন পার করে সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তার সামনে গেলে তার মানিব্যাগ চেক করে চারশ টাকা পান। বিদেশে বাংলাদেশী টাকা নেয়া নিষিদ্ধ জানিয়ে টাকাগুলো রেখে দেন তারা। কিন্তু এ টাকা কোথায় যাবে জানতে চাইলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ প্রতিবেদক নিজেও এভিয়েশন কর্মকর্তাদের এমন আচরনের সম্মুখিন হন। মানিব্যাগে প্রায় ১৭’শ টাকা পাওয়া গেলে সে টাকা রেখে দিতে চান। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তখন কর্মকর্তারা বলেন, ‘ভাল কথা, বিদেশে যাচ্ছেন তো আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়াবেন না? এ প্রতিবেদক ২’শ টাকা বের করে দিতে চাইলে এক নারী কর্মকর্তা রাগত স্বরে বলেন, ‘লাগবে না আপনার টাকা, এ দিয়ে কি মিষ্টি খাওয়া যাবে? আপনি নিজেই খান।
মুন্সিগঞ্জ থেকে মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য ইমিগ্রেশন পার করে এভিয়েশন কর্মকর্তার সামনে আসেন আব্দুর রশিদ নামে একজন ব্যবসায়ী। প্রবাসে থাকা আত্মীয়-স্বজনের জন্য তিনি দুই প্যাকেটে ৪ কেজি মিষ্টি হাতে করে নিয়ে আসেন। এভিয়েশন কর্তারা তার কাছেও মিষ্টি খাওয়ার টাকা চেয়ে বলেন, মিষ্টি বিদেশে নিয়েই যাবেন, আমাদেরকে খাওয়াবেন না? তিনি প্যাকেট খুলে মিষ্টি খেতে দিতে চান। তখন কর্মকর্তারা বলেন, আপনি টাকা দিয়ে যান আমরা পরে খেয়ে নেব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বিমানযাত্রী বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তারা মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে এক প্রকার চাঁদাবাজি করছেন। অনেক সময় টাকা না দিলে ব্যাগ রেখে দেয়াসহ ফ্লাইট ক্যানসেল করে দেয়ার হুমকি দেন।
ইউনিভার্সিটি মালয়ার আইন গবেষক মিনহাজ উদ্দিন মিরান বলেন, প্রবাসে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপেই বিমান বন্দরে আমরা এমন হয়রানির শিকার হই তাহলে দেশের প্রতি টানের জায়গাটা হালকা হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও সরকার এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে নিজ দেশের জনগণের কাছেই ইমেজ সংকটে পড়ে সরকার।
Source: taza-khobor
0 comments:
Post a Comment